মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসন ইক্যুয়াল পে ডে উদযাপন করছে। আগের বছর পুরুষরা যা উপার্জন করেছে তা অর্জন করতে নারীদের আরও কতদিন কাজ করতে হবে- তার প্রতীক এই ইক্যুয়াল পে ডে। গত বছর ২৪ মার্চ দিবসটি উদযাপন করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষদের প্রতি এক ডলার আয়ের বিপরীতে নারীরা এখনও ৮৩ সেন্ট উপার্জন করে। কালো,আদিবাসী আমেরিকান ও ল্যাটিনা নারীদের পাশাপাশি কোনো কোনো এশিয়ান নারীর ক্ষেত্রে এ বৈষম্য আরও বেশি।
মঙ্গলবার শ্রম বিভাগ পেশাগত পৃথকীকরণের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা ৩৯.৩ বিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক কম পেয়েছেন, হিস্পানিক নারীরা শিল্প ও পেশার পার্থক্যগত কারণে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের তুলনায় ৪৬.৭ বিলিয়ন ডলার মজুরি কম পেয়েছেন।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, নতুন বাবা-মার জন্য বৈতনিক ছুটি বেতনের ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র উন্নত দেশ যেখানে বাবা-মাদের জন্য ন্যাশনাল প্যারেন্টাল লিভ প্রোগ্রাম নেই। বেসরকারি খাতের কর্মীদের মাত্র ২৩ শতাংশ পেইড ফ্যামিলি লিভ-এর সুযোগ পান।
বাইডেনের প্রস্তাবিত ‘বিল্ড ব্যাক বেটার অ্যাক্ট’ জাতীয় বৈতনিক পারিবারিক ছুটি প্রদানের চেষ্টা করেছিল কিন্তু বিশাল ২ ট্রিলিয়ন সামাজিক ব্যয় কংগ্রেসে পাস হবার চেষ্টায় রয়েছে। শুধুমাত্র রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নয়, ডেমোক্রেটিক সেনেটর জো মানচিনের কাছ থেকেও এটি সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়াও মঙ্গলবার আমেরিকার প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস প্রশাসনিক কর্মকর্তা,ক্রীড়াবিদ ও সিইওদের অংশগ্রহণে একটি ইক্যুয়াল পে ডে ভার্চুয়াল সামিট আয়োজন করেন।
হ্যারিস বলেন, মজুরির ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক ব্যবধান নিরসন শুধু একটি নৈতিক বিষয় নয়, বাণিজ্যিকও বটে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।